কী ভাবে বুঝবেন ক্যানসারের লক্ষণ-
ক্যানসার নিঃসন্দেহে অত্যন্ত জটিল রোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগ যত প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা যায় ততই বাড়ে চিকিৎসার সুযোগ। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গগুলিকে অবহেলা করেন মানুষ। ফলে সময় থাকতে শুরু হয় না চিকিৎসা। রইল তেমনই কিছু উপসর্গের হদিশ।
১। ফোলা জায়গা: অনেক সময় ক্যানসার সৃষ্টিকারী টিউমার ত্বকের উপর থেকেও বোঝা যায়। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে স্তনে ও পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্ডকোষে কোনও রকম স্ফীতি দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
২। মলত্যাগের সমস্যা: যদি আচমকা মলত্যাগের অভ্যাস বদলে যায় বা মলত্যাগ করতে সমস্যা হয়, তবে তা কোলন ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে। যদি মলের সঙ্গে রক্ত পড়ে তবে দেরি না করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অনেকে এই উপসর্গগুলিকে অর্শ বলে ভুল করেন। ফলে দেরি হয়ে যায় চিকিৎসায়, ছড়িয়ে পড়ে রোগ।
৩। অনবরত কাশি: যে কোনও কাশি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলেই তা গভীরতর রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম প্রধান লক্ষণ কাশি। দীর্ঘমেয়াদি কাশিকে অ্যালার্জির সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করবেন না।
৪। খাবার গিলতে অসুবিধা: অনেক সময়ই নানা ভাইরাস ঘটিত রোগে গলা ব্যথা হয়। তাই খাবার গিলতে অসুবিধা হলে বা খাবার গেলার সময় ব্যথা অনুভূত হলে অনেকে তা উপেক্ষা করেন। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, এই সমস্যা গলা, খাদ্যনালী কিংবা পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
৫। আচমকা ওজন কমে যাওয়া: ওজন কমে যাওয়ায় পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। ডায়াবিটিস, থাইরয়েডের সমস্যা কিংবা নিছক পুষ্টির অভাবেও অনেক সময় ওজন কমে যায়। কিন্তু যদি আনুষঙ্গিক কোনও রোগ না থাকার পরেও ওজন কমে যায়, তবে তা উপেক্ষা করা ঠিক নয়। এটি ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।